শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

কালিয়াকৈরে শীতের আমেজে পিঠা বিক্রির ধুম

কালিয়াকৈর প্রতিনিধি::

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার অলি-গলির ফুটপাতের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন চলছে পিঠ তৈরি ও বেচাকেনার ধুম। সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাঁপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরষে বা ধনে পাতা বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা মাখিয়ে চিতই পিঠা।

পিঠা প্রেমি মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভির করছেন। আবার অনেককেই দেখা যাচ্ছে পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়াকে রেওয়াজে পরিণত করেছেন। অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।

এ ছাড়াও সন্ধ্যার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যায়। তবে শ্রমজীবী, রিক্সা-ভ্যান চালক, ড্রাইভার, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণীর লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শীতের পিঠা। শীতে পরিবারের সবাই নানা পিঠা খেতে উৎসাহী হয়। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের পিঠা খাওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান।

এসব পিঠার দোকান বসছে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ সমস্ত ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকরাই হলো হতদরিদ্র পরিবারের। স্বচ্ছছলতা ফেরাতে সংসারে অর্থেও যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে তেল পিঠা, চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। প্রতিটি পিঠা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করছে তারা। ভ্যান চালক, দিনমজুর, পথচারী ও শিশু-কিশোর ছাত্র-ছাত্রীরাও এ সমস্থ পিঠা দোকানের প্রধান ক্রেতা।

উপজেলার চন্দ্রা বাজারের এক দরিদ্র চিতই পিঠা বিক্রেতা হনুফা আক্তার জানায়, তিনি পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা আয় করে থাকেন। এই নিয়ে এক ছেলে এক মেয়ে তার স্বামীকে মুটামোটি ভাবে সংসার চলে।

চন্দ্রা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মোঃ গনি মিয়া জানান, এই ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালিয়ে আমার এক ছেলেকে স্কুলে লেখা পড়া করাতেছি। এতেই আমি অনেক খুশি।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশতিয়াক আহমেদ জানান, পিঠা ব্যবসায়ীরা অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করে বেকারত্ব দুরীকরণ করছে। অপর দিকে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যকে রাখছেন। অর্থিক ভাবে তারা লাভবান হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com